সাব্বির ইবনে ছিদ্দিকঃ নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার আগের অনুভূতির কারণে কারও মনে কষ্ট থাকলে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার উপর যদি আপনাদের মনে কষ্ট থেকে থাকে আপনারা আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির তান্ডব থামাতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি দলের পদে না থাকলেও এমপি হিসেবে প্রতিবাদ সভা ডেকেছি। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আপনারা আমাকে যে কোনো সময় ডাকবেন। আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকবো।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল সহ দলীয় সংসদ সদস্য ও আহ্বায়ক কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৩ ডিসেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে সব উপজেলা, পৌরসভাসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দিয়ে সদস্য রেখে ৮৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়।
Leave a Reply