স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের স্বনামধন্য হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচলাক ও মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারম্যান আদম তমিজি হক। স্বাধীনতা অব্যবহিত পরে ১৯৭৬ সালে জন্ম নেয়া আদম তমিজি হক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাবার মতোই একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে। ব্যবসা—বাণিজ্যের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে নিজেকে আলোকিত করার প্রয়াস আদম তমিজি হকের। নিজেকে নিবেদিত করেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। বিভিন্ন সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বরাবরাই অবদান রেখে চলেছেন। দেশে বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে অবদান রেখেছেন নিজেদের সাধ্যমত। আবার সাম্প্রতিক সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যায়ও দেখা গেছে তার উদার অংশগ্রহণ। নিজের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে গেছেন দুঃস্থ রোহিঙ্গাদের সেবায়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বাবার ছোটবেলা থেকেই খুবই ঘনিষ্ঠতা ছিলেন। সেই সূত্রে পারিবারিকভাবেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত।আদম তমিজি হক বলেন, ‘আমি ৯ বছর বয়সে বিদেশ গমন করেছি এবং সেখানেই পড়াশোনা শেষ করেছি। কিন্তু মন পড়ে ছিল দেশে। সময় ও সুযোগ পেলেই দেশে চলে আসতাম। দেশ আমাকে সব সময়ই টানতো। আমি পারিবারিকভাবে দেশকে চিনেছি ও বুঝেছি বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে। আমার বাবার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি। আমার বাবার কলকাতায় লেখাপড়া করার সুবাদে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ক তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, এটাই আমি আমার বাবার কাছ থেকে বুঝেছি। কারণ, বঙ্গবন্ধুই আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’যে মানুষটি দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে সেই মানুষটিকে এই দেশের কিছু ষড়যন্ত্রকারী হত্যা করেছে। এই বিষয়টি সবসময়ই আমার মনকে পীড়া দেয়। তাই আমার লক্ষ্য ছিল, বিদেশে পড়াশোনা করলেও দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, সেই সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং করে যাবো।তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি কেন আইডল, বিগত দিনে দেখা গেছে ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ সেইখানে আদম তমিজি হক ছিলেন অন্যরকম ভুমিকায় সেখানে। দলীয় কোন পদ নেই শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি ডেঙ্গু নিরসনে দিনরাত কাজ করে গেছেন।
তার এই কাজের জন্য তখন তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রশংসার সাগরে ভাসছিলেন। যেইখানে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকার দুই মেয়ের ছবি তোলায় ব্যস্ত, এখানে তিনি ছবির পিছনে থেকে ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করে গেছেন অনর্গলভাবে, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, তিনি নিজ উদ্যোগে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম।
শুধু তাই নয়, মানবিকতার এক অনন্য দৃৃষ্টান্ত মানবিক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আদম তমিজি হক আরেক ধাপ দেখিয়ে দিয়েছেন করোনা কালে। এই করোনাকালে ৬৪ জেলায় দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করতে দৈনিক প্রায় ৫ হাজার দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন বিনামূলে বিস্কুটসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তার সংগঠন মানবিক বাংলাদেশের মাধ্যমে। করোনাকালে দেশের দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারী—পুরুষ যারা দিন আনে দিনে খায় তারা পড়েছেন বেশি বিপদে। করোনাকালে সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন মানুষকে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপণ্য বিতরণ করছেন ঠিক তখনই আদম তমিজি হক চিন্তা করেন মানুষের ভাতের সঙ্গে প্রয়োজন শুকনো খাবার। তখনই বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন মানবতার এ ফেরিওয়ালা। এই মহতি উদ্যোগ প্রসঙ্গে আদম তমিজি হক জানান, মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর নামই মানবিকতা। মানুষের যে কোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন মানবতার এ ফেরিওয়ালা।
Leave a Reply