ভিপি পারভেজঃ আগামী ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন। এরই মধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কর্ম তৎপরতা এবং উদ্বিগ্নতা দেখা যাচ্ছে। যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ২০০২ সালে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাতে গড়া সংগঠন এটি। তাই সংগঠনটির নেতৃত্ব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করে থাকেন।এরই মধ্যে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা যুব মহিলা লীগের শীর্ষ দুটি পদের জন্য তাদের প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়েছেন।
তবে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আলোচিত প্রার্থী হচ্ছেন, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিমি। তিনি ২০০২ সালে দলের অত্যন্ত কঠিন সময়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন। তখন রাজপথে তার অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। শেখ হাসিনার ডাকা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের ব্যানারে অত্যন্ত স্বক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
তার বাবা ছিলেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন সৈনিক। রিমি জন্মগত ভাবেই একজন স্বনামধন্য আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি ১৯৯৫ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের “ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদক” ছিলেন। তারপর ইডেন কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির “ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক” ছিলেন।এবং বর্তমানে তিনি যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির “যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক” হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং গুণাবলীর কারনে, এরই মধ্যে যুব মহিলা লীগের প্রতিটি নেতাকর্মের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছেন।
অনেকেরই ধারনা, অতীতে যেমন রিমি তার প্রতিটি পর্যায়ে কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও যদি তাকে যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে সে তার দক্ষতার প্রমান দিবেন এবং সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল ভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য যে, বৈবাহিক সূত্রেও রিমি গোপালগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বউ। তার স্বামীও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ( লিয়াকত-বাবু কমিটি ) উপ দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
Leave a Reply