আনিছুর রহমান রবিন স্টাফ রিপোর্টার : তিনি রুহুল আমিন মনি সরকারের প্রধান সহযোগী। একসময় ছিলেন এস.এম. রুহুল আমিন মনি সরকারের বাসের হেলপার তিনি বর্তমানে নিজেকে দাবি করেন টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা হিসেবে। এস. এম. রুহুল আমিন মনি সরকারের ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি, হাটঘাটের ইজারা, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মের প্রকাশ্যে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে কথিত এই নেতার বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের দাপুটে নেতা মনি সরকারের সান্নিধ্যে থেকে বি কে বাবু টঙ্গী এলাকায় এখন এক মূর্তিমান আতংকের নাম।
অন্যদিকে সড়ক বিভাগ থেকে টঙ্গী ব্রিজসংলগ্ন লিজ নেওয়া জায়গায় ‘মিতালী’ নামে একটি পেট্রল পাম্প রয়েছে মনি সরকারের। আর পাম্প এ—র চারপাশে বি কে বাবু ঘরে তুলে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান এ—ই সকল অবৈধ দোকান হইতে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জামানত নিয়ে মাসিক ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে রেখেছেন বি কে বাবু। এছাড়া বি কে বাবু টঙ্গীতে নিজের অবস্থানকে নিরঙ্কুশ ভাবে জানান দিতে ঘরে তুলেছে নিজস্ব হোন্ডা বাহিনী এ—ই হোন্ডা বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করছে টঙ্গীর ছোটা ডন নামে পরিচিত বাবু আহাম্মেদ বাদশা ( কেডা আবু)
বি কে বাবু নিজের সকল প্রকার অপকর্মকে নিয়ে গেছে এক অন্যন উচ্চতায় বি কে বাবু টঙ্গীর জনসাধারণের কাছে শুধু মাত্র এক আতংকের নাম নয় টঙ্গীর যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া এক মূর্তিমান মাদক সিন্ডিকেট মূল হোতা এ—ই বি কে বাবু।
বি কে বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাইনি তবে বি কে বাবুর কয়েকজন সহ যোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য সে প্রাথমিক এ—র গন্ডি পারি দিয়েছেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে তাদের।
বি কে বাবু রাজনৈতিক শিক্ষাকে মূলধারায় এগিয়ে নিতে এবং মাদক সিন্ডিকেট কে আরো শক্তিশালী হিসেবে ঘরে তুলতে তৈরী করেছে এক বিশাল হোন্ডা বহর সে তার এ—ই হোন্ডা বহর কে নিয়ে রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ততম সময় পাড়ি দিয়ে থাকেন ফলে রাজনৈতিক অংগরাজ্যে তার হোন্ডা বাহিনীর সবাই এখন এক প্রকারের পরিচিত মুখ ফলে তার এ—ই হোন্ডা বাহিনীর একাংশ দিয়ে তিনি তার মাদক বানিজ্য করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি ফেসবুকে রেখেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিতর্কিত মেয়র এডঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তুলা একাধিক ছবি এবং সাবেক গাজীপুর জেলার প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে তার ছবি তুলে ব্যবহার করেছেন তার ফেসবুক আইডিতে আর এ—ই সব ছবি দেখিয়ে সে টঙ্গীর জনসাধারণের মনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। এছাড়াও সে নিজেকে সি আই ডির কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বি কে বাবু শুধু মাদক সন্ত্রাসী বাহিনী নয় তার অবৈধ আয়ের আরো একটি বর অংশ আশে টঙ্গীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলো থেকে তাছাড়া মনি সরকারের স্বাগতম নামের আবাসিক হোটেলটিও পরিচালনা করে থাকে এ—ই বি কে বাবু আর বি কে বাবুর হোটেল ব্যবসায় ছোয়া ডন নামে পরিচিত বাবু আহাম্মেদ বাদশা এ—র ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুজন বি কে বাবুকে নারী সাপ্লাই করে থাকে শুধু আবাসিক হোটেল গুলোতে নয় সুজনের মাধ্যমে বি কে বাবু এলাকায় বিভিন্ন বাসায় নারী পার্সেল বা সাপ্লাই করে থাকে।
বি কে বাবু গতকয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিমানে করে যাতায়াত করে থাকে বাংলাদেশের অন্যতম মাদকের রাজ্য কক্সবারে এছাড়াও দেশের যে সকল স্থানে মাদকের ছড়াছড়ি বেশি সে সমস্ত স্থানগুলোতেই বি কে বাবু সব চেয়ে বেশি যাতায়াত করতে দেখা যায়। এছাড়াও নামি—দামি পাচ তারকা মানের হোটেল গুলোতে বি কে বাবু বিভিন্ন সময় কিশোরগ্যং এ—র সদস্যদের নিয়ে খানাপিনার আয়োজন করে থাকে বি কে বাবুর কোন প্রকার এ—র বৈধ ব্যবসা না থাকায় তিনি কি করে বিমানে চলাচল করে ও পাচ তারকা মানের হোটেল গুলোতে যাতায়াতের টাকা কোথায় পায় তা নিয়ে এলাকাবাসী সন্দিহান তবে তার এ—ই সমস্ত খরচের গতিপ্রকৃতির ও তার অবৈধ ব্যবসা থেকেই তার অর্থ আসে বলে অনেকেই মনে করেন৷ বি কে বাবুর প্রধান সহযোগী ছোটা ডন বাবু আহাম্মেদ বাদশা (কেডা বাবুর) মাদক বানিজ্য জড়িয়ে পরা সহ স্থানীয় কিছু নামধারী সংবাদকর্মীদের সাথে বি কে বাবু ও তার সহযোগী ছোটা ডনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিস্তারিত তথ্য এবং যাদের দিয়ে বি কে বাবু এবং ছোটা ডন মাদক বিক্রি করে থাকে তাদের নাম সহ তৃতীয় পর্বে। সূত্র : দৈনিক সময়কাল নিউজ।
Leave a Reply