গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাড.আবদুর রহমান মাস্টারে নারীর সঙ্গে অনৈতিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মোবাইলে, ম্যাসেঞ্জারে, ইমো ও ফেসবুকে আপত্তিকর এ ভিডিওটি ছরিয়ে পরে । ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ওই ভিডিওটি নিয়ে মহানগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাড.আবদুর রহমান মাস্টার এরই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ নেতাকর্মী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাড. আবদুর রহমান মাস্টার, একটি কক্ষে এক নারীর সাথে কিছুক্ষণ কথোপকথন চালাচ্ছে। কথোপকথনে একপর্যায়ে ওই নারীকে আলিঙ্গন করছেন। তার কয়েক মুহুর্ত পরেই ওই নারীকে বিবস্ত্র করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। ভাইরাল হওয়ার টানা ২০ মিনিটের ওই ভিডিওটার পুরোটাই অশ্লীল কথোপকথন আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভরপুর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তাদের চারিত্রিক ত্রুটি আগে থেকেই রয়েছে।সে আবার জনগণের সেবক হয় কীভাবে তা জানি না। জানা গেছে, কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাড.আবদুর রহমান মাস্টার কোনাবাড়ি এম এ কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করা কালীন সময় এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেশ কয়েকদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। এরপর ২০১২ সালে কোনাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীসভার অনুষ্ঠানে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মুজাম্মেল হক এমপি সামনে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে জুতাপেটা করেন এক নারী। ভাইরাল হওয়ার ভিডিওর বিষয় কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, এমন অনৈতিক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তি আবদুর রহমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
এবিষয়ে কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাড.আবদুর রহমান মাস্টারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭১৫৩৪১৬১৬ যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, অশ্লীল এই ভিডিওগুলো কারা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালো আর কি উদ্দেশ্যে ছড়ালো এবিষয়ে গুলো আগে খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয় দলীয় ফোরামে আলোচনা করা হবে। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তারা যোদি দলের হয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগঠনীক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক, বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply