জাহিদ হাসান জিহাদঃ বর্তমান কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা সীমিত আকারে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, করোনা সংকটের কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরের গরুর জোগাড় না থাকার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় তথ্য মতে গতবছর দেশে কুরবানী যোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ ছিল। করোনা মহামারির কথা বিবেচনা করে কোরবানি যোগ্য গবাদিপশুর যথাসাধ্য যোগান নিশ্চিত করতে মোহাম্মদ এগ্রো সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
মোহাম্মদ এগ্রো গাজীপুরের হায়দ্রাবাদ আক্কাস মার্কেট এলাকার পূর্ব পাশে বিশাল এরিয়া নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ।
এখানে দেশি-বিদেশি প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত জাতের গবাদিপশু রয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে- দেশাল ষাঁড়, সিন্ধি, ইন্ডিয়ান কাংরাজ, টেক্সাস থেকে আমদানি করা ব্রাহমা, অস্ট্রেলিয়ান বড় জাতের গরু, ইন্ডিয়ান হারিয়ানা, পাহাড়ি বুট্টি, মিরকাদিম , লাল ও সাদা হাসা, পাকিস্তানি শিব্বী, শাহীওয়াল পাকিস্তানি ও নেপালি সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু।
এখানে আরও রয়েছে দেশি ও বিদেশি উন্নত জাতের ছাগল, এদেরকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে লালন পালন করা হয় । এবং প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ করা হয়।
এখানে কুরবানি পশু কেনার জন্য প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে । এখানে কিছু সংখ্যক উপস্থিত ক্রেতাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা হয় তাদের মধ্যে একজন ক্রেতা গাজীপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ । তিনি বলেন, দেশের এই মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আসন্ন কোরবানি পশুর হাটে উপচে পড়া ভিড় এড়ানোর জন্য এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নিরিবিলি পরিবেশে গরু ক্রয় করার জন্য মোহাম্মদ এগ্রো ফার্মে
এসেছেন । অন্যান্য ফার্মের তুলনায় মোহাম্মদ এগ্রো ফার্ম
খুবই উন্নত মানের ।
#ব্যবস্থাপনা_পরিচালক……
মোহাম্মদ এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ফার্ম এসোসিয়েশন গাজীপুর জেলার #সাধারণ_সম্পাদক জনাব #মোঃ_মশিউর_রহমান_খান।
তিনি বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনার মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে মানুষের কুরবানী পশু সংগ্রহ করতে ভোগান্তি পোহাতে
হচ্ছে। মহান আল্লাহ তা’আলা কে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসল্লির জন্য কুরবানী জায়েজ বা ওয়াজিব। সেই কথা বিবেচনা করে আমরা ব্যাপক হারে গবাদি পশু বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করেছি। ক্রেতাদের সামর্থ্য অনুযায়ী-১-লক্ষ থেকে-১০-লক্ষ টাকা পর্যন্ত গবাদি পশু এখানে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় আমাদের এই এগ্রো ফার্ম টি ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। তিনি আরো বলেন ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের কাছে পশু পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের এই মোহাম্মদ এগ্রো ফার্মে সবসময় একজন পশু ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছেন ।
তিনি আরো বলেছেন, এ ফার্মের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কাছে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি উন্নতমানের গবাদিপশু পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য , কেননা কুরবানির পশুর হাটে যে পশু গুলো আনা হয় সেগুলো বেশিরভাগই কৃত্রিমভাবে মোটাতাজাকরণ করা হয়ে থাকে এবং তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
Leave a Reply