নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সিটির ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী মনির হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। উনুসন্ধানে যানা যায় গাজীপুর সিটির কাশিমপুর থানাধীন ২ নং ওয়ার্ডের বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার মেঝো ছেলে ২নংওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান ২নংওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়ে আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের সুবন্দি গ্রামের মৃত তাজন দেওয়ানের ছেলে আঃ হামিদ দেওয়ানের নির্মানাধীন বাড়ির কাজ বন্ধো করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন মনির হোসেন মন্ডল। হামিদ দেওয়ান বলেন রাশিদা নামের এক নারী কে দিয়ে আমার এই নির্মাধীন বাড়ির জমির মালিকানাধীন দাবী করে গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলেও মামলার রায় আমার পক্ষে আসায় মনির মন্ডল সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদার টাকা না দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়, আমি নিরুপায় হয়ে এবিষয় ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিকট বিচার চাইলে কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন আমি মনিরের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবো না, কারন হিসেবে তিনি জানান মনির মন্ডল কমিউনিটি পুলিশের সভাপ্রতি পদে আছেন। এরপরে আমি বাধ্য হয়ে কাশিমপুর থানা, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি বরাবর লিখিতো অভিযোগ দিলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা, এবিষয়ে আমাদের প্রতিনিধির সাথে মনির হোসেন মন্ডল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিনিধি কে বলেন এটি একটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, ভিত্তিহীন, মিথ্যা প্রচার প্রচারনা করছেন আমার বিরুদ্ধে , তিনটি অভিযোগ কপি সম্পর্কে জানতে চাইলে মনির মন্ডল বলেন কাশিমপুর জোনের এসি সাহেব ডেকেছিলেন গতকাল কিন্তু ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন, পরবর্তী সময় দিলে আমরা বসবো, তিনি প্রতিনিধিকে বলেন ওই জমি হামিদ ভোগদখলে থাকায় এসিল্যান্ড একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন, এই জমির মালিকানাধীন মহিলার পক্ষে কাশিমপুরসহ গাজীপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশ হয়েছে বলে জানান মনির হোসেন মন্ডল। আমাদের প্রতিনিধি মনির মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পরে তিনি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিনিধি কে নিউজ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এলাকাবাসী জানান অহংকার ও দাম্ভিকতার আরেক নাম মনির মন্ডল।
একজন মাদক কারবারি, ডিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া একজন ভূয়া বৈজ্ঞানিক, একজন ধর্ষক, একজন দালাল, দুইজন বিএনপির কর্মীসহ আর ভালো হয়ে যাওয়া দুই ছিনতাইকারী।
তারা এমন এক নেতার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে ৮ কর্মী । তার কর্মীরা যদি হয় এমন, তাহলে সেই নেতা হয কেমন?
বিএনপি নেতা এরশাদ মন্ডল এ ওয়ার্ডে বিএনপির দলীয় পদে ছিলেন। তিনি বিএনপির একজন বড় ডোনারও ছিল। ১৯৯৫ সালে বিএনপির এক পোগ্রাম তৎকালিন সময়ের ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে গরু দিয়েছিলেন। তার বড় ছেলে এখন রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও মেঝো ছেলে মনির আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান দিয়ে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন। এরপর থেকে তিনি আবারও বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে উঠা-বসা শুরু করে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এই নেতার ৮ জন কর্মীর মধ্যে কাশিমপুর যুবদলের সহসভাপতি মোজাম্মেল খান ওরফে খান সাহেব অন্যতম। যিনি কিছুদিন আগে নকল স্বর্ণ বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। আরেক সিপাহি কাশিমপুর যুবদলের সদস্য হান্নান মন্ডল।
২নং ওয়ার্ডে তার প্রধান কর্মী চক্রবর্তীর ইকবাল। যিনি নিজ বাসার ভাড়াটিয়া এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে বন্দী আছে।
মনির মন্ডল স্থানীয় এক কারখানার সহায়তায় অসহায় মানুষকে উচ্ছেদ করে জমি দখল করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে উপায়ান্তর না দেখে ভিটেমাটি ছাড়া পরিবারগুলো তার বিরুদ্ধে RAB, ডিবি, ডিসি, কাউন্সিলরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে ২১টি অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় জনগণের আন্দোলন ও প্রশাসনের চাপের মুখে ক্ষমা চেয়ে, উচ্ছেদ করা মানুষকে নিজ ভূমি ও বসতবাড়ি ফেরত দিতে বাধ্য হন।
দিলরুবা নামে এক নারী জানান, জমি নিয়ে আমাদের পরিবারে বিরোধ চলছিলো, পরে সমাধানের জন্য মনির মন্ডল এর কাছে গেলে আলাদা ভাবে দুজনকেই মামলা করার পরামর্শ দিয়ে প্রত্যেকের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন। মামলার পর বিরুদ্ধপূর্ণ্য জমি কম দামে তিনি আমার কাছে থেকে কিনে নেন। সাংবাদিক ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে পরে সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে জমি দখলে নিয়ে কয়েকগুন বেশী দামে বিক্রি করেন। এভাবে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন। তার কাছ থেকে সাংবাদিক, পুলিশ খালি হাতে কখনো ফিরে যায়নি।
তিনি টাকার অহংকারে সাংবাদিক ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে যে কোন কাজ হাসিল করে দাম্ভিকতার সহিত চলাচল করেন। তিনি গরিবদের মানুষ বলে মনে করেন না।
এমনই বৃত্তে আটকে আছে মনির হোসেন মন্ডল নামে স্থানীয় পাতি নেতা। যিনি ১৯৯৯ সালে এইচএসসি পাশ করে কাজের উদ্দেশ্য ভারত চলে যায়, কিছুদিন পর ভারত থেকে জাপানের উদ্দেশ্য পাড়ি দেয়। ২০১২ সালের নিজ দেশে ফিরে এসে কম্পিউটার সাইন্সে ডিগ্রি অর্জন করেছে বলে প্রচার করেন। তারপর এমডি পদে বসে পড়েন নিজের বড় ভাইয়ের কারখানায়।
কারখানার শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ ও প্রভুত্ব করতে করতে এলাকাবাসীর সাথেও শুরু করেন এমন দাম্ভিকতা। এমতো অবস্থায় এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন যেন তিনি এই ধরনের হয়রানী আর কাউকে করতে না পারে, চলবে
Leave a Reply