মাসুদ পারভেজঃ ইস্টার্ন-রিফাইনারির-আগুন- নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটির উপমহাব্যবস্থাপক (ইন্সপেকশন অ্যান্ড সেফটি) এ কে এম নাঈমুল্লাহ বলেন, ‘আগুনের সঠিক উৎস আমরা বলতে পারছি না। রিফাইনারিতে যেখান থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারি হয়, এর পাশে আমাদের একটা ওয়েলি ওয়াটার বিট ছিল, ওই বিটেই আগুনটা লেগেছে।’ ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইস্টার্ন রিফাইনারির পাইপলাইনের ফুয়েলিং থেকে আগুন লাগার পর আমরা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই। তৎক্ষণাৎ আমাদের চারটা ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও চারটা ইউনিট যায়। আগ্রাবাদ, বন্দর, সিইপিজেড ও কেইপিজেড এই চারটা স্টেশনের আটটা ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।’ প্রতিষ্ঠানটির উপমহাব্যবস্থাপক (ইন্সপেকশন অ্যান্ড সেফটি) এ কে এম নাঈমুল্লাহ বলেন, ‘আগুনের সঠিক উৎস আমরা বলতে পারছি না। রিফাইনারিতে যেখান থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারি হয়, এর পাশে আমাদের একটা ওয়েলি ওয়াটার বিট ছিল, ওই বিটেই আগুনটা লেগেছে।’ ‘এগারোটার কাছাকাছি সময়ে আগুনটা লেগেছিল, আমাদের প্রশিক্ষিত লোকজন আছে, তারা শুরুর দিক থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছিল। আগুন খুব বেশি ছড়াতে পারেনি, একটা জায়গাতেই ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতিও তেমন নেই। পরে আমরা এক্সটার্নাল ফায়ার কল করেছি, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসছে। সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। পরবর্তী বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে আমাদের লোকজন কাজ করছে।’ এদিকে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) রায়হান আহমেদকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান। তদন্ত কমিটিকে শনিবারের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply