মাসুদ পারভেজঃ চট্টগ্রাম: মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ৪ পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ডমাস্টার কামরুল ইসলাম মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- নগরের বন্দর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহমুদ, বন্দর বিভাগের সাবেক সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) ও বর্তমানে আকবরশাহ থানার উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া, বন্দর বিভাগের সাবেক উপসহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বর্তমান সিলেট এপিবিএন কেএম জান্নাত সজল, নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক এসআই মঙ্গল বিকাশ চাকমা, বন্দর এলাকার বাসিন্দা জামাল ফরাজী ও মিলন ফরাজী।
মামলার বিবরণে বলা হয়, দিশা ফাউন্ডেশন নামে একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানিতে মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা রাখতেন কামরুল ইসলাম। সেখান থেকে ৮ লাখ টাকা ফেরত চাইলে জামাল এবং মিলন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসায়।
একটি চুরির মামলায় ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাকে নগরের আগ্রাবাদের হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে বন্দর থানা পুলিশ। পুরো শহর ঘুরিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ।
পরে তাকে এই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিন পর কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। সেই চুরির মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
মামলার বাদীর আইনজীবী জুয়েল দাস বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতারের পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ৪ পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
Leave a Reply