ফারুক আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও)ঃ মাদকাসক্তরা শুধু নিজেদের মেধা ও জীবনীশক্তিই ধ্বংস করছে না, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলাও বিঘ্নিত করছে নানাভাবে। যেসব পরিবারের সদস্য নেশাগ্রস্ত হয়েছে, সেসব পরিবারের দুর্দশা অন্তহীন গত শুক্রবার(১৩ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষ করে ঠাকুরগাঁও দুরামারি দক্ষিণ গোবিন্দ নগর এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে (সাঁওতাল পাড়া) এলাকার সামনে একত্রিত হন এবং মাদক ব্যবসায়ী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি কে এই মাদক বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতন করেন। তাদেরকে এই কথা বলেন যে
মাদকের করালগ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখনি যদি রুখে না দাঁড়ানো যায় তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। দেশে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী শিশু, কিশোর ও তরুণ। এরাই আগামী দিনের জাতীর কর্ণধার। মাদক নামক এক ভয়াল আগ্রাসী নেশা ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলছে আমাদের প্রজন্মকে। মাদকের ভয়ানক আসক্তি সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দীর্ঘমেয়াদে নৈতিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যতেও ঘটাবে। সাধারণত ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিন, আফিম, মদ, গাঁজা ও ভাংসহ বিভিন্ন নামে বিভিন্নরূপে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলছে। আমাদের এই এলাকায় নেশাখোরদের দিন দিন আনাগোনা বেড়েই চলেছে রাতদিন সহ সব সময় যাওয়া আসা করছে মাদক সেবীরা।
গাঁজা, ভাং, ইয়াবা ধরনের মাদক জীবন নিঃশেষ করে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুদের সুন্দর শৈশব উপহার দেওয়া, চিত্রাঙ্কনে, নাটকে, বিতর্কে, বৃক্ষরোপণে, গল্প-কবিতা লেখার প্রতিযোগিতায়, রচনা প্রতিযোগিতায়, গল্পের বই পড়ায়। এ অভিশাপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রজন্ম বাঁচলে জাতি বাঁচবে। অন্যথায় অন্ধকার গহিন অরণ্যে হারিয়ে যাবে জাতীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
Leave a Reply