আব্দুল করিমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের আব্বাস আলী মেম্বারের ছেলে জোবায়েদ রানা মোগরাপাড়া ইউপির বড়নগর গ্রামের আলমাসের কন্যা আরিফা আক্তার লিজাকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার দেনমোহড় ধার্য্য করে গত ১৭/০২/২০২৩ইং তারিখে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের দিন স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজা তাহার বাবার বাড়িতেই ছিল। বিয়ের পরের দিন স্বামী জোবায়েদ রানা শশুর বাড়িতে এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজার পূর্বে আরো একটি বিয়ে হয়েছে। সেখান থেকে সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করেছে। প্রথম বিয়ে গোপন করায় স্ত্রী ও শশুর বাড়ীর লোকজনের উপর সন্দেহ হলে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্বামী রাহুলের মা ফাতেমা বেগম। অভিযোগ তদন্ত করে সোনারগাঁও থানার পুলিশ কর্তকর্তা মোতালেব এর সত্যতা পান। পরবর্তীতে ঘটনা মীমাংশার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে পূনরায় বিয়ের কাবিন কমিয়ে আবারো ঘর সংসার করতে উভয় পক্ষকে পরামর্শ দেন। কিন্তু এতে কনের পরিবার স্বামী রাহুলকে জোর পূর্বক বিশ লক্ষ টাকা কাবিন করতে বলেন। অন্যথায় পূর্বের কাবিনের সাড়ে চার লাখ টাকা দাবি করা হয় রাহুলের পরিবারের কাছে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী রাহুল গত জুন মাসের ৭ তারিখে একই কাজির মাধ্যমে স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজাকে ডিভোর্স দেয়। এদিকে স্বামী রাহুল কনে পক্ষের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজা বাদী হয়ে স্বামী রাহুল, মা ফাতেমা বেগম, বোন কনিকা আক্তার, বোনের স্বামী শিবলী ও ঘটক স্বপনের নাম উল্লেখ করে গত মাসের ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতে হাজির হয়ে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দু’টি মামলা দায়ের করেন।
রাহুলের মা ফাতেমা বেগম জানান, আমার ছেলে রাহুল, মেয়ে কনিকা, মেয়ের স্বামী শিবলী সহ আমরা কেউ কোন মারধর করিনি এবং কোন যৌতুক দাবি করিনি। আমরা জানতামনা যে কনে আরিফা আক্তার লিজার পরিবার বিয়ের নামে এভাবে নিরব চাঁদাবাজি করে। এর আগেও সে সাবেক স্বামীকে তালাক দিয়ে দেনমোহড়ের টাকা আদায় করেছে। আমার ছেলে রাহুলের স্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা মাননীয় আদালতের কাছে এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।
Leave a Reply