আরিফুল ইসলাম শামিমঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বছরে হাজার হাজার দলিল সম্পাদিত হলেও বাড়ছে না রাজস্ব। ফলে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে এ অফিস। সোনারগাঁয়ে মূলত ভিটি বাড়ি, চালা ও নালা জমিকে ডোবা, বিল, বাগান ও বোরো ক্ষেত দেখিয়ে অধিকাংশ দলিল সম্পাদন হওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব^ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে এক দলিলে প্রায় ২৭,০০০০০/- টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও সাব রেজিস্ট্রারের পকেট ভারী হচ্ছে। জমির শ্রেণি বদল করে টাকা হাতানোর এই কৌশলকে বলা হয় ‘আন্ডারভেল্যু স্টাইল’।
কতিপয় দলিল লেখক শহীদ সরকার এবং মাহবুবুর রশিদ নয়ন এর যোগসাজশে সাব-রেজিস্ট্রার প্রতিনিয়ত আন্ডারভেল্যু দলিল করে যে পরিমাণ টাকা হাতাচ্ছেন তার ভাগ যাচ্ছে কয়েক স্তরে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, সোনারগাঁ সাব-রেজিস্ট্রার(ম্যাজিস্ট্রেট)অঃনঃমঃ বজলুর রহমান এমন দলিল করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার বেশি ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, একটি জমি যাহার দলিন নাম্বার ১৩৮৩৩/২২ তাং ২-০৮-২০২২ ইং সরকারি রাজস্ব প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সাব-রেজিস্ট্রার অঃনঃমঃ বজলুর রহমান নিজে পকেট ভারী করতেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমিটি রেজিস্ট্রি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে ৬শতাংশ জমির উপর ৩ তলা ভবনটির শ্রেণি ‘বাড়ি কিন্তু এখানেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কম টাকায় রেজিস্ট্রি করার জন্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ২,৭০০ স্কয়ার বর্গফুট স্থাপনা না বসিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। যার দলিল নং-১৩৮৩৩/২২।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সাব-রেজিস্ট্রার অঃনঃমঃ বজলুর রহমান মুঠফোনে বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হয়েছে তিনি যতো শীঘ্রই সম্ভব রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া এ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রধান করেন ।
এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক শহীদ সরকার বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। সেখানে আমার করার কি আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনারগাঁ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল বাড়লেও রাজস্ব না বাড়ায় টনক নড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। চলছে অনিয়মের কারণ অনুসন্ধান।
Leave a Reply