আরিফুল ইসলাম শামিমঃ গতকাল ৩০-০৮-২০২২ ইং নারায়ণগঞ্জের জালকুড়িতে চেকপোস্টের নামে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও অশোভন আচরণ করে মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চেক করার নামে চলছে অহেতুক হয়রানি ও চাঁদাবাজি।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটাতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাললকুড়ি চেকপোস্টে ডিউটিরত পুলিশের এস আই ডিউটি ফাঁকি দিয়ে পাশে দারিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় পার করছে তার তার পোসাকে কোন নেমপ্লেট ছিলোনা, আর কনস্টেবল দিয়ে করাচ্ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এমনকি চেকপোস্টে কনস্টেবলদের টাকা রুজি করার টার্গেট দিয়ে দেয়া হয় বলেও জানা গেছে। তাই এস আই সাহেবের টার্গেট পূরণ করতে কনস্টেবলরাও হয়ে যায় বেপরোয়া।
অভিযোগ রয়েছে, এস আই অনেক গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন ।
চেকপোস্টে হয়রানির শিকার মোঃ নুরুদ্দিন জানান, তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ নতুন কোট । পথিমধ্যে সকাল ৯টায় জালকুড়ি চেকপোস্টে পুলিশ মোটরসাইকেলটিকে সিগনাল দেয়। গাড়িটি সাইড করার পর গাড়িতে থাকা বেক্তিকে নামতে বলেন এবং কোন কথা না বলে বাইক থেকে চাবি খোলে নিয়ে এস আই এর হাতে দিয়ে আসেন কনস্টেবল । এরপর কনস্টেবল গাড়ি চেক না করে কাগজপত্র না দেখে নানা ধরনের বিভ্রান্তি মূলক প্রশ্ন করে তালবাহানা করতে থাকে।
পুলিশের আচরণ দেখে মনে হলো, তারা গাড়িটি আটক করেছে চেক করার জন্য না অবৈধ বাবে টাকা আদায়ের জন্য।
পরে এক পর্যায় কোন ঊপায় ণা পেয়ে নুরুদ্দিন তার সাংবাদিক বন্ধুকে ফোন করে ঘটনা খোলে বলেন, সাংবাদিক ডিউটিরত এস আই ও কনস্টেবল এর সাথে মোঠফোনে কথা বলতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে এস আই ফোনে কথা না বলে উত্তেজিত হয়ে যায়।রেকড সংগৃহীত রয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টা তালবাহানা করে বসে থাকার পড় বাধ্য হয়ে ৭০০০ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবলকে দিয়ে চাবি আনেন এস আই এর কাছথেকে ভুক্তভুগি।
এলাকাবাসী জানান, জালকুড়ি চেকপোস্টে অপরাধ দমন হয় না বরং অপরাধীদের মদদ দেয় পুলিশ।
এসপি সাহেব উদ্যোগ নিয়ে চেকপোস্ট বসালেও যারা ডিউটি করে তারা চাঁদাবাজি আর মানুষকে হয়রানি করছে। প্রতিদিন এ চেকপোস্টে বহু মানুষকে হয়রানি করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। যার কারণে পুলিশও হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।
এদিকে শুধু জালকুড়ি নয়, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, হাজীগঞ্জ, বিবি রোড রেল লাইন, মণ্ডলপারাসহ বিভিন্ন চেকপোস্টে ডিউটিরত পুলিশ চেকপোস্টের নামে চাঁদাবাজিসহ মানুষকে করছে অহেতুক হয়রানি। চেকপোস্টগুলোতে অপরাধ দমন ও অবৈধ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের কোনো বালাই নেই।রয়েছে পুলিশের চাঁদাবাজি ও মানুষকে হয়রানির অভিযোগ।
এ বিষয়ে সাধারন ভুক্তভুগি মানুষ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ।
Leave a Reply