কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালি বিট অফিসের আওতাধীন হাজি পাড়ার বিভিন্ন এলাকায় বনবিভাগকে ম্যানেজ করে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য চলছে পাহাড় কাটা ও স্কুল প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি বনবিভাগের জায়গা জবর দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কক্সবাজার সদরে ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজি পাড়ার এলাকার জাফর আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে হাজি পাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্টানের নাম ভাঙ্গিয়ে বসত ঘর নির্মাণ। শুধু তাই নয়, সে রেঞ্জ অফিসকে ম্যানেজ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণসহ জবর দখল কারীদেরকে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরোদ্ধে।
অথচ অবৈধভাবে পাহাড় কাটার শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার অপরাধ করার শাস্তি ১০ বছরের জেল বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আইনে উভয় ক্ষেত্রে জেল ও জরিমানা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বন আইন নীতিমালা তোয়াক্কা না করে বনবিভাগ ও পাহাড় খেকোরা সিন্ডিকেট করে পাহাড় কেটে সাবাড় করতেছে, তারা বন ও পরিবেশের ধ্বংসাত্বক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ এইভাবে পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ চলমান থাকলে পরিবেশ বিপর্যয় ও পাহাড় ধ্বসে সম্মুখীন হবেন তারা। পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, বিলুপ্ত হচ্ছে পাহাড় ও বন্যপ্রাণী।
এ ব্যাপারে নাপিতখালী বিট অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, জবর দখল ও ঘর নির্মাণের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে ফুলছড়ি রেঞ্জার দিপন বাবু বলেন বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply