মাসুদ পারভেজঃ আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে সহযোগিতা আর সন্ত্রাস কিংবা নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়ায় বিএনপির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বাসভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য নওফেল বলেন, “আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে, জীবন্ত মানুষ জ্বালিয়ে মেরে, ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট করে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন দল। তারা কর্মসূচি পালন করতে গেলে সাধারণ মানুষ ভয়ভীতি এবং রাগ ও ক্ষোভ থেকে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হতে পারে।
“সেই ক্ষেত্রে তারা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে, তাদের আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু বিএনপি যদি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে তাদের আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করব।”
চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে নওফেল বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উদার মানসিকতা ও দয়ার কারণে বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারের পরিবর্তে বাসায় আরামে জীবনযাপন করছেন।”
কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনাদের (বিএনপি) মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হল, আপনারা মিছিল করবেন, ভালো কথা; কিন্তু সেইখান থেকে একজন জনপ্রতিনিধির বাসভবনে কেন হামলা করবেন?
“এতেই প্রমাণ পায় বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা সবসময় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির সু্যোগ খোঁজে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু যদি আবার হামলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে প্রতিরোধের সাথে সাথে তাদের উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হবে।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৮ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, সাবেক যুবনেতা বখতিয়ার ফারুক, সাবেক ছাত্রনেতা এন মোহাম্মদ রনি।
২৯ অগাস্ট নগরীর বাকলিয়া চর চাক্তাই স্কুলের কাছে কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বাসা ও কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে সেদিন বিকালে বাকলিয়া বাদামতল এলাকায় বিএনপির সমাবেশ চলাকালে মিছিল নিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নবাব খানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
Leave a Reply