জাহিদ হাসান জিহাদঃ লিখিত ভাবে আওয়ামীলীগে যোগদান না করেও সাবেক গাছা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান গাছা থানা বি এন পির নেতা আলহাজ্ব আবু রায়হান চৌধুরীর খাজা এখন নিজ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের বড় নেতা বনে গেছে শুধু তাইনা শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া খেতাব কে কাজে লাগিয়ে নিজ এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ভাবে গার্মেন্টস, ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন স্তরের ব্যবসা।
তাকে নিয়ে বড় বিপদে আছে মহানগরের ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে সাবেক গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, গাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রশিদ মিয়ার মেয়ের জামাই আলহাজ্ব আবু রায়হান চৌধুরী খাজা। তিনি জন্মের পর থেকেই বি এন পির রাজনীতির সাথে জড়িত। বি এন পির রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় একজন বি এন পির ডোনার হিসাবে পরিচিত ছিল বলে এলাকাবাসী এই প্রতিবেদক কে জানান। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা এসে সরকার গঠন করলে এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য বি এন পি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের সময় রায়হান চৌধুরী খাজা তখন সেই আন্দোলনের সময় জোরালো ভাবে আন্দোলন কে বেগবান করার জন্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
জ্বালাও পোড়াও এর গাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার অভিযোগে আবু রায়হান চৌধুরী খাজাসহ বেশ কয়েকজনের নামে তৎকালীন জয়দেবপুর থানায় একটা মামলা হয়। আর এই মামলা থেকে বাঁচতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কে পুঁজি করে গত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় নিজের স্ত্রী আফসানা রশিদ রিনা কে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দাঁড় করিয়ে দেয়, এবং বি এন পির কর্মীদের নিয়ে এলাকায় বড় বড় ব্যানার পোস্টার দিতে শুরু করে তখন ঐ ব্যানার পোস্টারে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের ছবি থাকায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া,এসময় সুচতুর রায়হান চৌধুরী খাজা নিজের স্ত্রী আফসানা রশিদ রিনা কে শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে বাগিয়ে এনে দেয় গাছা থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদটি। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বি এন পির নেতা আলহাজ্ব রায়হান চৌধুরী খাজার।
স্ত্রীকে ব্যবহার করে স্ত্রীর পিছনে পিছনে শুরু করে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বাসায় আশা আর নেতাদের সাথে শুরু করে মোবাইলে ফোনে সেলফি বানিজ্য এই সেলফি কে পুঁজি করে রায়হান চৌধুরী খাজা আজ আওয়ামীলীগ নেতা।
এ বিষয়ে কথা হয় গাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী এম এ কাদিরের সাথে তিনি জানান রায়হান চৌধুরী খাজা কোনদিন আওয়ামীলীগে যোগদান করে নাই সে কেমনে আওয়ামীলীগের পরিচয় দেয় এটা আমি বলতে পারবো না….
আরো কথা হয় তৎকালীন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের সাথে তিনি বলেন একদিন আমার নিকটে এসে বলে আমি বি এন পির রাজনীতির বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ করবো এসময় সে একটা দরখাস্ত দেওয়ার কথা বলে আমাকে
এর পর আর আমার নিকটে আসেও নাই আওয়ামীলীগেও যোগদান করে নাই সে বি এন পির রাজনীতির সাথে জড়িত আছে এখনো।
৩৮ নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান একজন বি এন পির নেতা নেতা হয়ে সে কিভাবে আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয় আমার জানা নেই।
কথা হয় একজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জানান রায়হান চৌধুরী খাজা একজন বি এন পির নেতা আমাদের দলীয় কোন অনুষ্ঠান হলে রায়হান চৌধুরী খাজা অতিথিদের পিছনে দাড়িয়ে বা পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছ
নিজ এলাকা সহ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন স্তরের এলাকা সেই সাথে নিজের স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনে দিয়েছে গাছা থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদটাও তাই
এগুলো আমাদের সিনিয়র নেতাদের একটু খেয়াল রাখার দরকার তা না হলে একদিন আওয়ামীলীগের জন্য এগুলো ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply