আরিফুল ইসলাম শামিমঃ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় কাঁঠালতলি ইউনিয়ন কালিপুর গ্রাম নিবাসী মরহুম কাঞ্চন আলী খান মাস্টার সাহেবের বড় ছেলে এস. এম ইরতিজা হোসেন রিজভির কৌশলে তার ছোট ভাইয়েরা আজ গৃহহীন হওয়ার উপক্রম। মরহুম কাঞ্চন আলী খান সাহেব জীবিত অবস্থায় তার দুই ছেলে এস এম ইশতিয়াক হোসেন আরিফ এবং এস এম ইমতিয়াজ হোসেন তারিক এদের থাকার জন্য তিনি যেখানে নিজে বসবাস করতেন সেখানে সেখানে বসবাস করার ব্যবস্থা করেন, এবং তার বড় ছেলে বসবাস করার জন্য অন্য জায়গা ব্যবস্থা করে যান। কিন্তু তার বড় ছেলে এস এম ইরতিজা হোসেন রিজভী তার আপন ছোট দুই ভাইকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেন । এগুলো অন্য দুই ছেলে বুঝতে পেরে তার ছোটমামা মিজানুর রহমান মিজান এর শরণাপন্ন হন। তার ছোটমামা ব্যাপারটি মীমাংসা করার জন্য তাদের ভাগ্নিদের বাড়িতে আসেন। তার মামা এই সিদ্ধান্ত দেয় ঘরের তিন অংশ যার যার অংশ শে ব্যবহার করবে,যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলে নতুন বাড়িতে নতুন ঘর- বাড়ি না তুলবে, তাও আবার ১/২ বছরের মধ্যে তার নতুন ঘর-বাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। বৈঠকে সকল সিদ্ধান্ত ছেলেরা এমন কি তার মাতা ও সাথে সাথে মেনে নেয়।
কিন্তু তার মামা চলে আসার পর এস এম ইরতিজা হোসেন রেজবী প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেটা তার অন্য দুই ভাইয়েরা উপলব্ধি করতে পারে এবং সাথে সাথে প্রতিবাদ করে। রিজভীর প্রতারণা ছিল এটাই যে উনি ১/২ বছরের জন্য উক্ত ঘরের যে অংশে থাকবে তার পাশেই প্লাস্টার করে রান্নাঘর উঠানোর পরিকল্পনা করেন যা অন্য দুই ভাইয়েরা এর প্রতিবাদ করে। তখন রিজভী কৌশল করে ঘরের তিনের একাংশ খুলে নেওয়ার কথা জানান যেন তার অন্য দুই ভাই গৃহহীন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় তার ছোটমামা মিজানুর রহমান মিলন ও ষড়যন্ত্রের সাথে শামিল হয়। তার মামা ও ঘর ভাঙার উদ্যোগ নেয়। যখন ঘর ভাঙার উদ্যোগ নেয় তখন তাঁর অন্য দুই ভাই একজন ঢাকায় এবং একজন চিটাগাং অবস্থান করছিলেন কর্মক্ষেত্রে। ব্যাপারটি তার দুইভাই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান এবং তারা ব্যাপারটি সমাধান করবেন আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু তার ই ফাঁকে রিজভী এবং তার ছোট মামা মিলনের নেতৃত্বে অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতায় ২২/০৩/২২ ইং সকাল ৯ ঘটিকার সময় পাকের ঘর ভেঙে ফেলে এবং এস এম ইসতিয়াক হোসেন আরিফের সমস্ত ফার্নিচার ও সিরামিক্স এর জিনিসপত্র ভেঙে ফেলেন পরক্ষনে স্থানীয় মেম্বার মোঃ আব্দুর রহমান, অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ছালাম এবং মাওলানা আসাদুজ্জামান সরজমিনে দেখতে আসেন।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যখন তখন আরিফের ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রীর ক্ষতি করতে পারেন বড় ভাই। বর্তমানে আরিফের ছেলে এবং স্ত্রী একা বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখানে উল্লেখ যে, এস এম ইরতিজা হোসেন রিজভী একজন ভয়ংকর প্রতারক। তিনি বিভিন্ন গরীব মানুষের নামে লোন উঠিয়ে বহু টাকা আত্মসাত করেছে যা ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর কাছে বিস্তর অভিযোগ আছে। এমনকি তিনি ভুয়া সাংবাদিক সেজে বহু লোকের কাছ থেকে বহু টাকা আত্মসাত করেছে।
এমনকি বরগুনার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা “দৈনিক শেষ কথা” নামে ঢাকায় একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন “সাপ্তাহিক ইন্দিরা ” নামে একটি ম্যাগাজিন বের করে আসছে যা দৈনিক শেষ কথা প্রকৃত স্বত্বাধিকারী আজ পর্যন্ত জানেন না। এস এম ইরতিজা হোসেন রেজভী প্রকৃত পক্ষে একজন নারী লোভী যার বাস্তব প্রমাণ তিনি অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী কে বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করতেছেন। ভুক্তভোগী ভাইয়েরা এই প্রতারকের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
Leave a Reply