বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমার প্রিয় সোনারগাঁ বাসী
আসসালামু আলাইকুম
আমি মোঃ খোরশেদ আলম (সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের এাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক) আজকে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেখে খুবই লজ্জিত ও মর্মাহত হয়েছি। আর সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন আমার জেঠাতো ভাই জনাব মাহফুজুর রহমান(মাহফুজ) ভাই। তিনি তার নিজ বাসায় সাক্ষাৎকারে বলেন গতকাল ২২-০৬-২০২২ তারিখ আনুমানিক দুপুর ২ টার সময়ে জসিম ও আলম তার গং নিয়ে মাহফুজ কে পাঁচানি নদীর পাড়ে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ভাই আপনি কিভাবে এত বড় মিথ্যাচার করে নিজের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করলেন? এভাবে আর কতদিন অন্যের কথায় নিজের মান ইজ্জত নষ্ট করবেন? কিছুদিন আগে আপনার সহযোগী মাসুদ রানাকে বাদী করে যে মিথ্যা মামলা আমার বড় ভাই নিরপরাধ মোঃ নুরুজ্জামানকে আসামি করেছিলেন সেই মিথ্যা মামলার জামিনের জন্য আমি গতকাল ২২-০৬-২০২২ তারিখে আপনার দেয়া মিথ্যা মামলার জামিন আনতে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে গিয়েছিলাম। আপনি চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে আপনি প্রমাণ করতে পারেন কে আপনাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে আমি না অন্য কেউ। আর জসিম সাহেব ছিলেন ঢাকায়। আপনি কিভাবে ছোট ভাইয়ের নামে এরকম মিথ্যা অভিযোগ করলেন আপনার বিবেকে একটুও বাঁধা দেয় নাই।আপনাকে আরো একটি মিথ্যা অভিযোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি আপনি গত- ২২-০৪-২০২২ তারিখে আপনি আমার বন্ধু মামুনকে মিথ্যা একটা ঘটনায় জড়িত করে তাকে মারধর করে আপনি গিয়ে আমাকে ও আমার আপন দুই ভাই এবং আমার আপন চার চাচাতো ভাই সহ ৭ জনের নামে আপনি নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেন যা পরবর্তীতে মামলা হিসেবে গণ্য হয় নাই। আপনার কাছে এ প্রতিদান কখনো আশা করি নাই এবং তার চেয়ে ভালো কিছু পাবো সেটা আশা করি নাই। কারণ “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ” আমি আপনাদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরলাম। সাক্ষাৎকারটি দেখে আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন এই ঘটনায় আমি জড়িত কি না। একই ঘটনায় ৩ জনের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনজনেই ভিন্ন মানুষের নাম বলেছেন। তাহের আলী ভাই কে ধন্যবাদ সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য।
আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই আমাকে মিথ্যা দিয়ে ফাঁসিয়ে গত কালকে রাতে আমাদের বাড়িতে বড় ভাই মোঃ নুরুজ্জামান এর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে এবং তাকে মারধোর করে। এ খবর শুনতে পেয়ে আমার বোন জামাই তাজুল ইসলাম ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পুলিশ সবকিছু তদন্ত করে শান্তিনগর বাজারে আসলে পিছন দিক দিয়ে এসে শান্তিনগর ব্রিজের উপরে আমার বোন জামাই কে মাহফুজ, জাহিদ, ইব্রাহিম, তাহের আলী, সুদীর, ইমরান আরো অনেকে তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার বোন জামাইকে তারা অনেক মারধর করেছে যা পরবর্তীতে আবার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে করতে আসেন সোনার গাঁ থানার এস এই মাসুদ রানা ভাই এবং তিনি বলেন থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার।আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যারা অপরাধী তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
Leave a Reply