1. admin@dailyteligraf.com : admin :
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ই-নামজারী জমাখারিজে অনলাইনে সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন সদর উপজেলার সাধারণ জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে শামীম ভাইয়ের হাত ধরে এগিয়ে যাব এডভোকেট ফজলে রাব্বি সারাদেশে বিএনপির হত্যা, নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সোনারগাঁওয়ে আ’লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ১০ম বর্ষপুর্তি উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সোনারগাঁ পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাবিকের বিশাল শোডাউন টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সকলের দোয়া চায় -স্বপন মৃধা ডিভোর্সের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদ পেলেন মোঃ নজরুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলায় জাল দলিল করে হিন্দু সম্পত্তি দখলের চেষ্টা

মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের দুর্নীতি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩০৪ বার পঠিত

আরিফুল ইসলাম শামিমঃ লাগামহীন দুর্নীতি চলছে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের অফিসে ও তহসিল অফিসের সর্বক্ষেত্রে। এসব অফিস দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। সবগুলো অফিসের সামনে সিটিজেন চার্টার টানানো আছে, দেখার অনেক লোক আছে কিন্তু এগুলো মানার কেউ নেই। শুধু লোক দেখানোর জন্য টানানো। এসব অফিসে কিছু সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার থাকলেও প্রকান্তরে তারা অসৎ অফিসার বা শক্তিশালী দালাল চক্রের কারণে কোনঠাসা হয়ে থাকেন। তারা দৃশ্যমান কোন ভূমিকা রাখতে পারে না।

এসব অফিসে কোন সেবার জন্য গেলে অফিসের শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্রের ভাবখানা দেখলে মনে হয় তারা জমির মালিক বা রাজা। আর সেবা প্রত্যাশীরা জমির প্রজা বা হুকুমের গোলাম। এক্ষেত্রে নিয়মমাফিক কাজ করতে গেলে প্রতিপদে হেনস্তা হতে হয় এবং এক সময় বাধ্য হয়ে দালাদের দারস্থ হতে হয়। তারা ঘুষকে বকশিশ বা অতিরিক্ত পারিশ্রমিক বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে এবং এটাকে তারা বৈধ আয় মনে করে।

একটি নামজারি নিয়মমাফিক দাখিল করা হলে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়, পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে উপরোক্ত বকশিশের বিনিময়ে সমাধা করতে হয়। নামজারি ও খাজনা ডিজিটাল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করা যায়নি। তহসিল অফিসে ৫-১০ টাকার খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে ১০০-৫০০ টাকা বকশিশ দিতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে কেউ অভিযোগ করলে তিনি প্রকারান্তরে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও যদি দুর্নীতিপ্রবণ হন, তাহলে সেবাপ্রত্যাশীর অবস্থা সেই রাজার দুধের গল্পের মতো পানসে মনে হয়।

এসব অফিসে খাজনা আদায়, জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, জমির শ্রেণী পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণে চেক জালিয়াতি, নীতিমালা ভঙ্গ করে জমি বরাদ্দ দেওয়া, জলমহাল ইজারাসহ নানা ক্ষেত্রে অবাধ দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, উদাসীনতা ও দুর্নীতিপরায়ণ মানসিকতার কারণে জনসম্পৃক্ত অতিগুরুত্বপূর্ণ এই খাতের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এসব অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ভূমি খাত দুর্নীতির বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দিন দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার লোভ-লালসার কারণে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ, সম্পদ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে জমির মালিক হয়েছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই অবহেলা লাঞ্চনা থেকে বাদ দিচ্ছে না দেশের বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ।

এসব অনিয়ম দূর করার জন্য ভূমির সব কাজে শতভাগ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। নীতি ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে সব কাজ করা উচিত। ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে। প্রতিটি অফিসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা শুধু ডিজিটালাইজড করলেই হবে না, সংশ্লিষ্টদেরও সৎ ও নৈতিক মানসম্পন্ন হতে হবে। হয়রানি নয়, সেবার মনমানসিকতা থাকতে হবে। একইসাথে ভূমি খাতের দুর্নীতির বিষবৃক্ষ উপরে ফেলার জন্য জিরো টলারেন্স নীতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২১  ডেইলি টেলিগ্রাফ
Theme Customized By Theme Park BD