নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ে বৈদ্যার বাজার ইউনিয়নে সাহাপুর নামক এলাকায় আনন্দ বাজার রোডে অবৈধভাবে আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে চলছে অনুমোদনহীন ঢালাইয়ের চুলা সহ নানান আসবাবপত্র তৈরির কারখানা। এতে একদিকে যেমন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপরদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব এলাকায় বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ।
তিতাসের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় সংযোগ নিয়ে দির্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যার বাজার ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোঃ মহসিন সরকার নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এম এম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশ নামে ঢালাইয়ের চুলা সহ নানান জিনিসপত্র প্রস্তুত ও বিক্রি করে আসছেন। কারখানাটির ভিতরে দেখা যায় পাশের বাড়ি থেকে অবৈধ গ্যাস লাইন টেনে এনে দিনের পর দিন ব্যবহার হচ্ছে তিতাস গ্যাস।
এসকল জিনিসপত্র তৈরির কারখানাগুলো বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এসবের বেশিরভাগ কারখানাই ফায়ারইকুপম্যান্ট দেখা যায়নি। একটি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন কারখানার সকল শ্রমিক। অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ মালিকেরই পরিবেশের ছাড়পত্রসহ নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই চলছে তাদের কাজ।
এসবের ছবি তুলতে গেলে কারখানাটির ভিতরে থাকা শ্রমিকরা এই প্রতিবেদককে সংবাদ না করতে অনুরোধ করেন। তারা বলেন,আমরা জানি অনেক জনকে ম্যানেজ করেই দির্ঘদিন ধরে চলে আসছে এ ব্যবসা।
কাঁরখানার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া জায়।
কর্মরত ১জন সাংবাদিকদের দেখে প্রথমে উচ্চস্বরে তিতাসের লোকজনকে নিয়ে আসেন বললেও পরে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে ঘুরেন পেছন পেছন। অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে কিভাবে ব্যবসা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা দেশে অবৈধভাবে এ ব্যবসা চলছে, তাই আমরাও করছি। এরমধ্যে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কিছু দিয়ে কোনমতে করতেছি ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোনারগাঁও এলাকায় একাধিক কলকারখানার কারণে একদিকে যেমন নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি অবৈধভাবে এসব কারখানায় গ্যাস পোড়ানোর ফলে বিভিন্ন সময় গ্যাস সংকট দেখা যায় বাসাবাড়িতে।
স্থানীয় মোঃ রায়হান মিয়া বলেন,সোনারগাঁ উপজেলায় কিছু কিছু এলাকায় তিতাস গ্যাস অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে যাওয়ার সপ্তাহ খানেক পর পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এদের বিরুদ্ধে এর চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Leave a Reply