নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় গোলচত্তরের পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা পাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের গঠনা ঘটেছে।
বিবাদীরা আগে থেকেই পরিকল্পনা মোতাবেক ঊশৃংখল দাঙ্গাবাজ কিশোর গ্যাং নবনুর হোসেন সাবিক গ্রুপ ও সাবেক ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার দুলাল মিয়ার সাথে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৮জন আহত হয়েছে। গত (৫ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৫ জুলাই মঙ্গবার পৌনে ১০টার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের গোলচত্তরের একটি পেয়ারা গাছ থেকে অরবিন, একটি কাঁচা পোয়ারা পেড়ে খেতে থাকে। এ সময় দুলাল মিয়া ও তার ভাগিনা কাওছার, কাঁচা পেয়ারা পাড়াকে কেন্দ্র করে তর্কে জরিয়ে পরে।
জানাযায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের নবনুর হোসেন সাবিকের নেতৃত্বে অরবিন ( ২০), সানি (২৪), রবিন (৩০), রুব (২২), রোহান (২০), উজ্জল, পলাশ (২৪) সহ ১০/১২ জন অগগাত নামা দেশীয় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুলাল কমিশনার সহ তার ভাগিনা কাওছার ও দুই ভই শাহ আলী বেপারী এবং ইসলামের উপর হামলা করে, সাথে থাকা নগদ ২৫,০০০০০ লাখ টাকা নিয়ে জায় এবং অনাধিকারে বাড়ির বিতরে প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন মালামাল সহ পন্য সামগ্রী ভাংচুর করে যাহার মুল্য ২,৫০,০০০ টাকা।
গুরুতর জখম সহ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রিনি ও মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী পারুল আগাইয়া আসিলে তাদেরকে নবনুর হোসেন সাবিক,অরবিন, উজ্জ্বল সহ বিবাদীরা মারপিট করিয়া শরীরের ভিবিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম সহ মাথায় ধাড়ালো চাপাতি দিয়ে আাগাত করে, ছোট ভাই ইসলামের বাম হাত ভেঙ্গে দেয়।
এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটলে পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুলাল মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা পৌরসভা কার্যালয়ে আসেন। এ সময় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের সঙ্গে একটি সভা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা চলে যান। এরপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অপারেশন ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, গাছ থেকে কাঁচা পেয়েরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায়, বিবাদী ১ নং আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply