শামিমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে জমির দলিল করে জমি দখলের পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল তালতলা বারদী সড়কের গোবিন্দ পুর থেকে মহজমপুর ব্রীজ পদক্ষিণ করে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ওই এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী কৃষক আমজাদ হোসেন লতিফ, মুজিবুর রহমান নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম মিয়া, সমাজ সেবক খায়রুল আলম, কৃষক ফরিদ হোসেন, আল মামুন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ এলাকার মানুষ নিরীহ। স্থানীয় ভূমি দস্যুরা সাব-রেজিষ্ট্রার অঃনঃমঃ বজলুর রহমান ও বিভিন্ন দলিল লিখকদের হাত করে একের পর এক চলছে রাজস্ব ফাঁকি সহ নানান অপকর্ম ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে সাধারণ মানুষের জমি ভূয়া দাতা সাজিয়ে দলিল করে জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে। ভূমিদস্যুরা মোটরসাইকেল যোগে এসে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বক্তরা আরো বলেন, ভূয়া দলিল সৃজনে সোনারগাঁও উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অঃনঃমঃ বজলুর রহমান, দলিল লিখক মহসিন মিয়া, মদত দাতা দলিল লিখক সহিদ সরকার, সনাক্তকারী সজল ওরফে মনা জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধন কৃষকদের অভিযোগ, এ্যাম্পায়ার ল্যান্ড মার্ক নামের একটি কোম্পানি নাম পরিচয়হীন ভূয়া দাতা সাজিয়ে কৃষকের জমি ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি দলিল করে নেয়। আমরা এ ভূয়া দলিল বাতিল দাবি করছি।
দলিল লিখক মহসিন মিয়া বলেন, দাতা গ্রহিতা আমাকে যে কাগজপত্র দেবেন সেই কাগজপত্রের মূলে আমি দলিল সৃজন করে দিবো। এখানে কোন কাগজ ভূয়া সেটা যাচাই করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এ্যাম্পায়ার ল্যান্ড মার্ক কোম্পানি লিমিটেডের তত্বাবধায়ক গোলজার হোসেন বলেন, আমরা জমির প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়েছি। তবে জমি সৃজন করার সময় যদি কোন দাগ ভুল হয়ে থাকে তার সমাধার করে দেওয়া হবে।
Leave a Reply