আরিফুল ইসলাম শামিমঃ সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে প্রধান আসামী করে টেন্ডার ড্রপে বাঁধা দিয়ে হামলার অভিযোগ করেছে সিরাজুল ইসলাম সজল নামের এক ব্যক্তি। ওই অভিযোগ পত্রে আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বাকি অভিযুক্তরা হলেন-মানুম (৪৬),ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু (৪৮), এস.কে সজিব (৩৫), মো. সুমন (২৮), মো. নুর আলম (৪০), শফিকুল ইসলাম সাগর (২৬), হৃদয় প্রধান (২৮), অনিক প্রধান (২৬), শিপন (৪২), আল-আমিন (৩০), রোমান বাদশা (৪৩), রবিউল (৪৫), দিলন (২৮), শান্ত (২৮), পায়েল (৩১), রানা (২৬), রক্সি (২৬), রাকিব (২৮), সজিব (২৫), জহির প্রধান (২৭) ও মামুন (৩৫)।
এছাড়াও আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে সজল উল্লেখ করেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার ড্রপের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ অভিমুখে যাচ্ছিলেন। এসময় আসামীগণ পূর্বশত্রুতার জের ধরে কাইকারটেক ও সোনারগাঁ চৌরাস্তা বাজার নামক স্থানে তাদের গতিরোধ করে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামীদের হাতে ধারালো চাকু, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার রড ছিল। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ১, ২ ও ৩ নং আসামী অপরাপর আসামীদের তাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন। হুকুম পেয়ে ৪,৫ ও ৬ নং আসামী বাদী ও বাদীর খালাতো ভাই শেখ মেহেদীকে বেধড়ক পিটিয়ে নীলফুলা জখম করে। ১০, ১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭ ও ২২ নং আসামী বাদীর সাথে থাকা জনৈক জাবেদ, আলমগীর, মিন্টু, জসিম, শেখ আমান, শাহজালাল ও সেলিমকেও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ৮ নং আসামী, ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার হৃদয় তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম আলমগীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
৯ ও ১০ নং আসামী কিশোর গ্যাং লিডার অনিক প্রধান ও শিপন ভিকটিম জসিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। জসিম তা ডান হাত দিয়ে ফেরাতে গিয়ে হাতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। আসামীরা অন্যান্য ভিকটিমদেরও বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে। এছাড়াও আসামীরা ভিকটিমদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন। ভিকটিমদের চিৎকারে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা ভিকটিমদের নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘টেন্ডার ড্রপে বাধার ঘটনায় থানায় অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন। আমরা কমপক্ষে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply