ভিপি পারভেজঃ গণধর্ষণ মামলার সকল আসামিকে ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। সোনারগাঁ থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, এর নেতৃত্বে সোনারগাঁ থানা পুলিশ অভিযানে নেমে উক্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের
সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত
মফিজউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন, দৌলারদী গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে মোঃ সাকিল। সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের আলগীর চর নুরুল উগুল মহিলা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন মিলে উত্তক্ত্য করতো। উত্তক্ত্যের জের ধরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। গত ১ লা নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রীর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি
দেখিয়ে পাশ্ববর্তী দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকায় সেলিম মিয়ার ছেলে শাকিলের বাড়িতে তাদের দুই রুম বিশিষ্ট খালি ঘরের ভেতরে অপহরণ করে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তারা একে একে তিনজন মিলে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ওই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকে। তিনদিনেও এর প্রতিকার না পেয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর বাবা।
এজাহার দায়েরের পর মামলার রুজু করে। আসামিদের
জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার বিশদ বর্ণনা দেয় এবং বিজ্ঞ
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করতে রাজি হয়। রবিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে,
আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। উল্লেখ্য যে, গত (০১ নভেম্বর বুধবার) আসামিরা মাদ্রাসা ছাত্রী কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
Leave a Reply