নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক ডিয়ারা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নুনেরটেক গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বাহাউদ্দিন বাদী হয়ে আমির আলী গংদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারদী এলাকার দলরদী গ্রামের আলী আকবরের ছেলে সালমান তার মামার বাড়ি নুনেরটেক ডিয়ারা গ্রামে বেড়াতে গেলে সেখানকার স্থানীয় সন্ত্রাসী মৃত আ: রহমানের ছেলে আমির আলী, তার দুই পুত্র ছাইদুল ও ওয়াজকুরনীসহ আরো ৪/৫জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে সালমানকে এলোপাথারি দা, ছুড়ি, কোদাল দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় সালমানের আর্তচিৎকারে তার খালা হালিমা বেগম এবং মামা সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। আহত সালমানের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা সালমান ও তার মামা সালাউদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং আহত হালিমার গলায় থাকা বারো আনি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে আহত সালমানের মামা বাহাউদ্দিন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী বাহাউদ্দিন জানান, আমি ব্যবসার কাজে বাড়ির বাহিরে থাকি। ঘটনার দিন আমার ভাগিনা সালমান আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল সে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই স্থানীয় সন্ত্রাসী আমির আলী ও তার দুই ছেলেসহ অন্য সন্ত্রাসীরা মিলে আমার ভাগিনা সালমানের উপর হামলা চালিয়ে দা, ছুরি ও কোদাল দিয়ে কোপাতে থাকে। সালমানের আর্তচিৎকারে আমার বড় বোন হালিমা ও ছোট ভাই সালাউদ্দিন এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
সোনারগাঁ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, নুনেরটেক এলাকায় মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply