আরিফুল ইসলাম শামিমঃ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে সোনারগাঁ উপজেলায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। সকাল থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা প্রবেশমুখে পুলিশ-আনসার সদস্যরা তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন। শহরের বাইরে থেকে জরুরি প্রয়োজনে আসা ইজিবাইকের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। অনেকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ছে পুলিশি জেরার মুখে।
লকডাউনের নির্দেশনায় জরুরি পণ্যসেবার দোকান ছাড়া অন্য সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ঘোষণা থাকলেও বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা চালু রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউন পালনে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের নেতারা মাঠে থাকার কথা থাকলেও আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া কাউকে চোখে পড়েনি ।
আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। তাঁরা ইজিবাইক আটকিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। হাসপাতালে যাওয়ার কথা শুনলে দেখে নিচ্ছেন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র। উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
সোনারগাঁয়ে চৌরাস্তা বাজার এলাকায় রাসেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘লকডাউনের কথা শুনেছি। মাইকিং শুনেছি। বিশ্বাস করিনি। বাড়ির বাইরে এসে দেখি অনেকেই তো আসছে। বাজারঘাট করতে যাই।’
পানাম এলাকায় কথা হয় মোঃ ফারুকের সঙ্গে। বাড়ি থেকে বের হয়েছেন কেন? ফারুকের উত্তর, ‘কোথায় লকডাউন, সবকিছুইতো চলছে। বাজার ঘুরে দেখেন, মানুষের হাট লেগে গেছে।
বেলা ১১টায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কাঁচাবাজারে ব্যাগ হাতে আনিসুর রহমান বলেন, প্রশাসন মানুষের ভালোর জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে।এখানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মুখেই মাস্ক নেই, প্রশাসন নিজেই যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতে না চায়। সাধারন মানুষ কিভাবে সচেতন হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বাজার তো ঘুরে দেখলাম, অনেকের মুখে মাস্ক নেই, মাস্ক আটকিয়ে রাখছে থুতনিতে। রাজধানীর ভেতরে হয়তো লকডাউন চলছে, কিন্তু পাড়ামহল্লায় লকডাউন বলেন আর স্বাস্থ্যবিধি বলেন, কেউ মানতে চায় না।’
সকাল থেকে লকডাউন পালনে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢিলেঢালাভাব শুরু হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে টহল দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসন চলে গেলেই আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে সবাই।
Leave a Reply