আরিফুল ইসলাম শামিমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারী জায়গা খাল দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ ও বালুর ব্যবসা অভিযোগ মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার ভাটিবন্দর-সাহাপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পাকা খুঁটি ও বাঁশ টিন দিয়ে এ দোকানপাট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠে।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজসে এ দোকান নির্মাণ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এর আগেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভূমি অফিসের কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা সরকারী জায়গা দখলে সাহায্য নিয়ে দোকান নির্মাণ করতে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার ভাটিবন্দর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকারি জায়গা খাল দখল করে দোকান পাট নির্মাণ করেন। এ দোকান পাট নির্মাণের ফলে ওই এলাকায় প্রায় ৩০০-৫০০ সংখ্যালঘু পরিবারের গোসল করার সরকারি যায়গার ঘাঁট দখল করে ইট ও বালু ব্যবসা চালু করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভাটিবন্দর ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পাশে সরকারি সম্পত্তি পেশী শক্তিবলে মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকারী জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেন। এবিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোন প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারী সম্পত্তি ও নদীর জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন এবং এডভান্স টাকা নিয়ে মাসিক চুক্তিভিত্তিক চাদা উঠাচ্ছে সরকারি জায়গা থেকে। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলা ও মামলার ভয় দেখান।
এলাকাবাসীর আরোও অভিযোগ, ভাটিবন্দর ব্রীজ এলাকা দখলদাড়িত্বের রামরাজত্ব চলছে। এ এলাকার পরিত্যক্ত সকল জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় কিছু নামধারী নেতাদের আশ্রয়ে ও ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দখলে নিয়ে নিচ্ছে সরকারি জায়গা । এর আগেও ওই এলাকায় কয়েকটি জায়গা ভূমি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দখল করেছেন।
এ বিষয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, জায়গা আমার নিজের সরকার আমার জায়গার উপর ব্রিজ করেছেন কোন নোটিশ বা একোয়ার ছাড়া এজন্য ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার এবং ভুমি কর্মকর্তা সকলে বলেছেন যা হওয়ার হয়েছে ব্রিজের নিচে এবং সাইটে আপনার যা ইচ্ছা করেন কেউ কিছু বলবেনা।
সরকারী সম্পত্তি ও নদীর জায়গা দখল করে এডভান্স টাকা নেন কেন মাসিক চুক্তিভিত্তিক ? এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি এড়িয়ে যান।
Leave a Reply